“আমার বাবা, আমি এবং সমুদ্রের কবিতা” বিরহি বাতাস এসে কানে কানে বলে গেল আজ না তোমার জন্মদিন? ও তাইতো- আমি তো ভুলেই গেছি। চোখের কোনে বিন্দু- বিন্দু জল জমা হয় কার জন্য জানিনা বললে ভুল হবে। নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখতে চাই পারি কই? তবুও মনে আস বারং বার। বুকের এককোনে চিন চিন ব্যাথ্যা করে কার জন্য জানিনা বললে সেটাও ভুল হবে। পড়ন্ত বিকেলের শেষে সূর্য যখন হেলে পড়ে , আযান হয় ঐ মসজিদে, বারবার ভেসে ওঠে সাদা “জোব্বা” পরা মানুষটির, মানে আমার বাবা। চোখের কোনের বিন্দু জল, বুকের একপাশে চিন- চিন ব্যাথ্যা সবই তোমার জন্য বাবা। বিরহি বাতাস এসে কানে কানে বলে গেল আজ না তোমার জন্মদিন? ও তাইতো- আমি তো ভুলেই গেছি। আমি জানিনা আমার মতো সকল সন্তানেরা কি তাদের বাবাকে স্মৃতিময় করে, নিজেকে কষ্ট দেবার জন্য মনে রাখে কিনা, আমিও বাবা হয়েছি, স্বাদ পাচ্ছি বাবা নামের পুর্নতায়। যখন আমার সত্ত্বা সমুদ্র কেঁদে ওঠে আমি ভয়ে ছুটে যায় ওর কাছে, কি এক টান, নিবীড় বন্ধন, পিতৃত্বের ভালবাসায় । তুমি কি আমার মতো ছিলে বাবা? পৃথিবীর সব বাবারাই কি এমন হয়? সমুদ্রকে দেখলে অনেকটা তোমাকে ভুলে থাকতে পারি,মনে মনে বলি আল্লাহ আমার বাবাকে আবার ফিরিয়...