Posts

Showing posts from July, 2009

এক পাগল ছেলের বাবার সাথে কথোপকথোন

Image
                                                                                                                                 ২৫-০৭-০৯ বাবাকে আলমারকাজুলে গোসল করানোর সময় ----------------   একটু চোখটা খোল প্লীজ বাবা।এই বাবা এই দেখো আমি তোমাকে কপালে,মুখে স্পরশো করছি।বাবা একটু তাকাও।একটু পাপড়িটা খোল বাবা।প্লীজ বাবা-একটু কথা বল। বাবা বলে ধুর পাগল আমিতো চিরনিদ্রায়,তুই বুঝিসনা কেন চিরনিদ্রায় যারা যায় তারা কথা বলেনা। বাবা তোমার গায়ে এই দেখো আমি সাবান দিয়ে দিচ্ছি,তোমার কি ব্যাথ্যা লাগছে বাবা?বাবা একটু তাকাও এই দেখো আমি কত ভাগ্যবান যে,তুমি আমাকে ছোটবেলায় সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে দিতে,আমার চোখের মধ্যে সাবানের ফেনায় চোখ জ্বলতো,বাবা আমি চোখ বুজে দৌড় দিতাম। এই বাবা তোমার কি চোখের মধ্যে সাবানের ফেনায় জ্বলছে?SORRY বাবা এই যে পানি দিয়ে ধুয়ে দিলাম। বাবা তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে বাবা একটু তাকাও আমার দিকে।বাবা এই যে তোমার পা ধুয়ে দিচছী তুমি দেখতে পাচ্ছ?তোমার কি মনে আছে ছোট বেলায় শীতের সময় শীতের ভয়ে পা না ধুয়ে বিছানায় যেতাম,তুমি বিছানা থেকে উঠিয়ে পা ধুয়ে দিতে। বাবা প্লিজ একটু তাকা

অভিমানি মা

                                  অভিমানি মা আমি মায়ের একটা চিঠির অপেক্ষায় থাকি আমার মা বড় অভিমানি আমাকে ড্রাগ নিতে নিষেধ করেছিল আমি রাখতে পারিনি মার কথা মা আজ তাই অভমানি। মা আমাকে আগের মতো লেখেনা মাগো তোমার জন্য আমার খুব কষ্ট হয়। প্রতিদিন ডাক অফিসে যায়  ডাক পিয়ন কে দেখলেই দৌড়ে চাচা আমার মায়ের কোন চিঠি.......... না বাবা আজ নেই। রাগ জমে কাননা করি মাকে বিশশাস করাতে পারিনি মা আমি ড্রাগ নিই না। মনে পড়ে কোন এক বনধুর পাললায় প্রথমে সিগারেট, পরে হেরোইন পড়ালেখায় মন বসতনা। মার গয়না চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে কি যে পিটুনি...... সেই থেকে মা আমার অভিমানী। যে মা দশমাস দশদিন গরভে নিয়ে মুখ দেখিয়েছেন এই পৃথিবীর সই মা আজ অভিমানী। আবার ডক অফিসে যায়  কত মানুষের চিঠি...অথচ এত চিঠির ভীড়ে  আমার একটা চিঠি নেই। মাকে লিখি মাগো ক্ষমা কর এই বখে যাওয়া ছেলেটাকে... মাগো তোমার পুঁটি মাছ ভাজা কতিদন খাইনে আর অভিমান করোনা মা। আমি আগের মতোই পড়ালেখা করছি দু'কথার একটা লিখ জানিনা মা চিঠি পেড় নিরবে কাঁদে কিনা। ডাক অফিসে আর যায়নে ২ মাস পর...............। ডাক পিয়নের গলা শুনি। খোকা তোকে ক্ষমা করেছি

একটা প্রেমের চিঠি

        একটা প্রেমের চিঠি তোমার পড়াশোনা খুব মুল্যবান জানি কিন্তু একটা প্রেমের চিঠিকে কেন এত তুচ্ছ ভাবো? পড়াশোনা করেতো কত রাএ কাটাও  কিন্তু একটা প্রেমের চিঠি লিখতে কেন এত আলস্য? প্রশ্নোওর না হয় লিখলে দামি মসৃন কাগজে, সুন্দর হস্তাক্ষরে আধুনিক প্যযুক্তির মুদ্রন কলায়, কিন্তু খাতার মসৃন পাতায় সামান্য দুটি শব্দ লিখে পাঠালে কি এমন  সময়ের অপচয় হয়? জানি পড়াশোনায় খুব ব্যস্ত তুমি তাই বলে কি নিষেধ একটা প্রেমের চিঠি লিখতে? তার জন্য কি ডাকতে হবে জাতিসংঘের বৈঠক? সংশোধন করতে হবে কি সংবিধান? একটা প্রেমের চিঠি লিখলে কি শেষ হয়ে যাবে বিদ্যা? কলমের কালি? পড়াশোনা করছো বলে কি লিখবেনা  একটা প্রেমের চিঠি? তোমাকে কি করে বোঝায়  পড়াশোনার চেয়ে একটা প্রেমের চিঠি কম মুল্যবান নয়।।
Image
                                                          বাবার কাছে খোলা চিঠি বাবা, আমি জানি এ চিঠি তুমি পড়বেনা। তবুও তোমাকেই আমি লিখছি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে তোমার পিঠে ঘাঁ হয়ে গেছে তাইনা? সিরিন্জের কামড়ে হাত পায়ে ছিদ্র হয়ে গেছে তাইনা?  বাবা, তোমার মনে আছে এই আষাড় মাসে আমাদের খাবারের খুব কষ্ট হতো? আমাদের জমিতে যে ধান হতো ৯ ভাইবোন, তুমি, মা ১১ জনের সংসারে আষাড় মাসে ধান ফুরিয়ে যেত। বৃষ্টির মধ্যে ভিজে তুমি বাজারে যেতে। মা তোমার জন্য চুলার পাশে বসে অপেক্ষা করতো কখন তুমি আস। মনে আছে বাবা একবার নৌকা ডুবে কয়েকজন মারা গিয়েছল, তুমিও সে নৌকায় ছিলে। সারারাত আমি,মা সবাই কি কান্নাই না করেছিলাম। বাবা একবার বরষায় আমি,তুমি সেলিম ভাই,জিল্লু ভাই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ইয়া বড় এক কাতলা পেয়েছিলাম- কি খুশি হয়েছিলাম তাইনা বাবা। এখনও আমার হাসি পায় বাবা। বাবা তোমার কি মনে আছে ক্লাশ ফাইভে ট্যালেনফুলে বৃত্তি পেলাম সারাগ্রামে তোমার কাধে চড়ে ঘুরেছিলাম? হেডমাষটার স্যারকে জড়িয়ে ধরে তুমি কেদেছিলে। বাবা তুমি প্রতি ঈদে আমাকে বেশি টাকা দিতে এজন্য সেলিম ভাই তোমার সাথে রাগ করে উঠানের ধুলায় গড়াগ